ইচ্ছা করে রোজই কিছু লিখতে। কতো কিছু চিন্তা করি, তবু কিছুই লেখা হয় না।
গত কয়েকদিন ধরে ভাবছিলাম একটা গানের সাথে আমার অনেক স্মৃতি নিয়ে লেখবো। কৈশোরের এক অদ্ভুত প্রেমের স্মৃতি জড়িয়ে আছে, তবু লেখা হয়ে উঠে না। সারাদিন আমার সবটুকু শক্তি ঢেলে দেই চাকরি নামের দাসত্বে। সন্ধ্যারও পরে কোন এক ভীড় বাসে করে যখন শহরের আরেক প্রান্তে এসে পৌছাই, মাথা কাজ করলেও হাত চলতে চায় না। স্বাভাবিক এবং নির্বিকারভাবেই কিছু না লিখে আমি আরো একটা দিন পার করে ফেলি।
তবু আশা রাখি, রোজ লিখবো। “লেখা হচ্ছে না”- এই ধরণের অনুযোগ হলেও লিখবো। কিন্তু মূল সমস্যা হলো, এই লেখার শেষের দিকে এটাই আবার বুঝতে পারছি না, কেন লিখবো ?
ধুর !
মইরা যা! মইরা মইরা মইরা যা!
এইটা কি কোন গানের লিরিকস, রত্না ?
আমিও ভাবি, কেনো লিখবো… তারপর আবার অনেক লেখা ঘুনুর ঘুনুর করে পায়ে পায়ে ঘুরে… আমাকে প্লিজ লিখে ফেলো… লিখে ফেলো… আমি তাদেরকে বলি লিখবো লিখবো কিন্তু লেখা হয়না তারা হারায় যায়। আবার কখনও পুটপুট করে দুই একটা লেখা লিখেও ফেলি। হুদাই। বস্তুত ‘কেনো’ একটা বেইললেস প্রশ্ন যার ফকিন্নি মা’কে কারও বাপ ভালোবাসেনা। মাঝেমাঝে অকারণেই লিখে ফেলতে পারো।