Feeds:
পোস্ট
মন্তব্য

Archive for the ‘বিভাগবিহীন’ Category

ইচ্ছা করে রোজই কিছু লিখতে। কতো কিছু চিন্তা করি, তবু কিছুই লেখা হয় না।

গত কয়েকদিন ধরে ভাবছিলাম একটা গানের সাথে আমার অনেক স্মৃতি নিয়ে লেখবো। কৈশোরের এক অদ্ভুত প্রেমের স্মৃতি জড়িয়ে আছে, তবু লেখা হয়ে উঠে না। সারাদিন আমার সবটুকু শক্তি ঢেলে দেই চাকরি নামের দাসত্বে। সন্ধ্যারও পরে কোন এক ভীড় বাসে করে যখন শহরের আরেক প্রান্তে এসে পৌছাই, মাথা কাজ করলেও হাত চলতে চায় না। স্বাভাবিক এবং নির্বিকারভাবেই কিছু না লিখে আমি আরো একটা দিন পার করে ফেলি।

তবু আশা রাখি, রোজ লিখবো। “লেখা হচ্ছে না”- এই ধরণের অনুযোগ হলেও লিখবো। কিন্তু মূল সমস্যা হলো, এই লেখার শেষের দিকে এটাই আবার বুঝতে পারছি না, কেন লিখবো ?

 

ধুর !

 

Read Full Post »

গত ছয় সাত বছর ধরে ইন্টারনেট বাসের এই সময়টাতে যে জিনিশটা সবচেয়ে বেশি দেখেছি, তা হচ্ছে চমৎকার সব ছবি। প্রথম দিকের গুগল ইমেজ সার্চ, পরে ফ্লিকারের সন্ধান পাওয়ার পর বুঝতে পারলাম এই বিশাল জালের নানা কোণে অসাধারণ সব ছবি লুকিয়ে আছে, যাদের দেখলে বিস্ময়ে মুখ হা করে থাকা ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না। তবে এত চমৎকার সব ছবির মধ্যেও খুব কম ছবিই আমাকে ভাবতে বাধ্য করেছে, কিংবা ভীষণ ভাবে নাড়া দিয়েছে। দুর্ভিক্ষের সেই অ্যাওয়ার্ড পাওয়া ছবি দেখেও সত্যিকার অর্থে ততোটা ধাক্কা খাইনি, যতটা ধাক্কা খেয়েছি আমি দুইটা ছবি দেখে।

প্রথম ছবি ভাষা শহীদ বরকতের মায়ের–

শহীদ মিনারের সামনে �াষা শহীদ বরকতের মা

শহীদ মিনারের সামনে ভাষা শহীদ বরকতের মা

ছবিটা দেখা মাত্র আমি বিষণ্ণতায় আক্রান্ত হই। হতবিহবল একজন বৃদ্ধা রমনী, যার ছেলে জীবন দিয়েছে ভাষার যুদ্ধে, তাঁর চোখে এক ধরণের নীরব অভিযোগ দেখতে পাই আমি। শুধু মনে হয়, এ ছবিটার দিকে তাকানোর সাহসটুকু আমার নেই, সাহস নেই এই বৃদ্ধা মায়ের চোখের দিকে তাকানোর। হয়তো বহুকাল আগেই মারা গিয়েছেন এই বৃদ্ধা, তবু মনের কোথায় যেন একটা খচখচে ভাব থাকে, একটা অস্বস্তি,  একটা ভয় দানা বেঁধে উঠতে থাকে, মনে হতে থাকে আমরা দল বেঁধে হত্যা করেছি তাঁর ছেলেকে।

আরেকটা হচ্ছে ফুলবাড়ী আন্দোলনের সময় তোলা একটা ছবি।

আন্দোলন শুনলেই মনে হয় বিএনপি না আওয়ামীলীগ ? বিশ্বাস করতে পারি না, শুধু মাত্র নিজের অস্তিত্বের জন্য কেউ আন্দোলন করতে পারে। মিছিলে লোক দেখলে মনে হয়, এদেরকে তো টাকা দিয়ে ভাড়া করা হয়েছে। রাজনীতির অধঃপতনের ( শুধুই কি রাজনীতি ? আমাদেরও কি অধঃপতন হয় নি ? ) এই যুগে আন্দোলন শব্দটার প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে গিয়েছে।

সেই হারানো বিশ্বাসটাই যেন নতুন করে জন্ম নেয় ছবিটা দেখলে। অশিক্ষিত-দরিদ্র এইসব মানুষের ভয়হীন পদচারণা কোথায় যেন একটুখানি আশার প্রদীপ জ্বালায়, যে আলোতে আলোকিত হয়ে উঠে এই গ্রহের আদ্যোপান্ত।

Read Full Post »

মেলানকোলিঃ শিল্পী স্টেলা হোয়াইটের আঁকা

মেলানকোলিঃ শিল্পী স্টেলা হোয়াইটের আঁকা

মানুষের মন সত্যিই বিচিত্র। কখন কী কারণে যে মন ভালো কিংবা খারাপ হতে পারে সেটাও সমান বৈচিত্র্যের। গত দু-তিন দিনে ঘটে যাওয়া ঘটনাতে আমার মন ভালো থাকা উচিত না এবং আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত সেটা ছিলোও না। কিন্তু সন্ধ্যার দিকে স্প্রেড স্পেক্ট্রামের উপর গতসপ্তাহে ল্যাবে করা আসা এক্সপেরিমেন্টের রিপোর্ট লেখতে যেয়ে একটা ব্যাপার খুব সহজেই ধরে ফেলার পর, মনে খুব ফূর্তি হল। বেশ ছোট একটা ব্যাপার, এজন্য মিনিট পাঁচেকের জন্য মন ভালো হতে পারে কিন্তু ফূর্তি ফূর্তি বোধ হওয়ার কথা না। তবু বেশ আনন্দ পাচ্ছি। যে রিপোর্টটা নিশ্চিন্তে ল্যাব পার্টনারের ঘাড়ে চাপিয়ে দিতে পারতাম, সেটা নিজেই বসে বসে লিখছি।

কেন এরকম করছি ? একটু আগে বেশ কিছুক্ষণ চিন্তা করে বুঝলাম, আমি আসলে পালাতে চাইছি। নিজের থেকে নিজেই পালাতে চাইছি। যে চিন্তাগুলি করতে ভালো লাগে না সেগুলি থেকে পালাতে চাইছি ; আর তাই আনন্দ খুঁজে পাচ্ছি কমিউনিকেশন থিয়োরির কোন সমস্যার সামান্য কোডিং এ। যাক, আনন্দ যখন পাচ্ছি সেটাই সই। নিজেকে নিরানন্দে রাখতে এই মূহুর্তে আর ইচ্ছা করছে না।

## একটা গল্প লেখার ইচ্ছা মাথায় খুব ঘুরঘুর করছে গতকয়েকটা দিন ধরে। আগামীকাল কোন কাজ না থাকলে, একটা প্লট ভাবতে হবে।

Read Full Post »

০১

নির্জন কৈশোরের রাতগুলিতে চুপচাপ বসে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতাম। মেঘের দিকে, তারার দিকে।  শুধু মনে হতে, যদি একটা বার যেতে পারতাম ঐ আকাশে। যেভাবে আজ আমি তাকিয়ে আছি আকাশের দিকে, হয়তো কোন একদিন ওই আকাশ থেকে আমি তাকিয়ে থাকবো পৃথিবীর কোন বারন্দার দিকে, যেখানে বসে আছে নিষ্পলক কোন কিশোর।

০২

সমুদ্রের তীরে গভীর রাতে বসেছিলাম, গভীর রাতের নীরবতায় হেঁটেছিলাম কিছুটা পথ। তাকিয়ে ছিলাম আকাশের দিকে। মেঘগুলি সব ছুটে চলছিলো, দূরে সমুদ্রের গর্জন। অসহায় লেগেছিলো খুব – উপরে এই বিশাল আকাশ, সামনে দিগন্ত বিস্তৃত সমুদ্র। এদের সামনে আমি কত তুচ্ছ , কত ক্ষুদ্র।

০৩

গভীর রাত। চুপচাপ একা শুয়ে আছি লঞ্চের উপরে ছাদে। নিকশ কালো আধাঁর – অমাবশ্যার রাত। নদীর হিমশীতল বাতাসে গায়ে কাটা দিয়ে উঠছে। আকাশ বয়ে চলছে নিরন্তর – হয়তোবা সময়ও।

০৪

কি হবে এত ইদুঁর দৌড় দিয়ে ? জি আর ই, টোফেল কিংবা নেটওয়ার্কিং – সব খুব অর্থহীন মনে হয় এক সময়। ইচ্ছা করে সবকিছু ছেড়ে চলে যাই এমন সময়গুলিতে। এই রাত, এই আকাশ, এই মেঘ, এই নিঃসঙ্গতার চেয়ে আপন আর কে আছে এই পৃথিবীতে ?

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ ফ্লিকার

Read Full Post »

এলিজি

০১

বিড়াল এর প্রতি আমার মনোভাব ছিলো নিরপেক্ষ – অন্তত বছর দুয়েক আগ পর্যন্ত। এর মধ্যে আমার বাসার আশেপাশে এক বিড়ালের ঘোরাফেরা শুরু হলো, যার কাজ ছিলো মূলত আমাদের বাসার সিড়ি নোংরা করা। সকালে নাকে হাত চাপা দিয়ে বের হওয়া ছিলো আমাদের নৈমিত্তিক ঘটণা। সেই থেকে বিড়াল দেখতে পারি না। বুয়েট ক্যাফেতেও পায়ের সামনে ঘুরঘুর করে বিরক্ত করার পর লাথি কশিয়েছিলাম দুয়েকবার – আঘাত করার উদ্দেশ্য ছিলো না একদমই।

০২

সন্ধ্যার দিকে বাসা থেকে বের হয়েছিলাম টিউশনির জন্য। কয়েক পা সামনে এগুতেই দেখি  সেই বিড়ালটা উলটে পড়ে আছে। আঁতকে উঠলাম, সারা শরীরে মারের চিহ্ন। ঘুরে একটু তাকাতেই দেখি, প্রাণ আছে – নড়ছে – চোখ খুলে আমার দিকে তাঁকিয়ে আছে। হেঁটে চলে গেলাম, কারণ আমার বেজায় তাড়াহুড়া।

০৩

রাতের বেলা বাসা থেকে বের হয়েছি, অনেকখানি সামনে যেতে দেখি বিড়ালটা রাস্তার উপর মরে পড়ে আছে, এবার আর নড়ছে না –  একটা চোখ এখনো খোলা। খুব বীভৎস লাগলো ব্যাপারটা দেখে , মনে হচ্ছে বিড়ালটা আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে।

০৪

এখন পর্যন্ত অবশ্য ঠিক করতে পারিনি কোনটা বেশি বীভৎস – মরার পরও বিড়ালের তাকিয়ে থাকা নাকি একটা বিড়ালকে এমন নির্দয়ভাবে প্রহার করা।

Read Full Post »

রাত আড়াইটা। এ সময় আমার আর যাই হোক ব্লগ লেখার কথা না। কাজে অবহেলা, তাই শাস্তি বিশবার কান ধরে উঠা-বসা। বাকিটা পরে এসে লিখছি।

Read Full Post »

প্রলাপ -০১

নীলটা এসে সবুজটাকে ধাক্কা দিলো। তাল সামলাতে না পেরে সবুজটা উলটে পড়লো একদম গিয়ে লালের উপর। লাল নির্বিবাদ মানুষ – সবুজ এসে পড়া মাত্র আয় ভাই বুকে আয় বলে টেনে নিয়ে কালো হয়ে গেল। এসবের মধ্যে কে যেন ডাক দিলো- আরো একটা বানাইলাম – এইটা ধরা।বীচি রয়ে গিয়েছে, পটাশ পটাশ ফাটছে। “ খোকা রাজুদের বাসাটা কোনদিকে বলতে পারো” – উত্তর দেওয়ার আগেই কে যেন নাকে ক্লোরোফর্ম গুঁজে মধ্যপ্রাচ্যের জকি বানিয়ে দিলো। আমি কাঁদতে শুরু করলাম, “ জকিই যদি হল, জেনুইন জকি নয় কেন ”।এই যখন কাহিনী, কোন হারামজাদা জানি আকাশে ফুটো করে দিয়েছে আর চুইয়ে চুইয়ে জল পড়ছে – এই জলকে মাম ডাকবো না স্পা ডাকবো ভাবতে ভাবতেই উত্তর আসে স্পার্ম ডাকো।

Read Full Post »


তারপর কেটে গেল কতগুলো বছর
রাত আর আমাদের জীবনে আসে না
আমরা বাঁচিনা সেই তারার আলোতে, সেই নক্ষত্রের রাতে
খোলা আকাশের নিচে বসে শুনিনা সেই বাঁশির শব্দ
তুমি আর জিজ্ঞেস করো না ,”রাত মানে কি ?”
হয়ত আমি বলতে চেয়েছিলাম
রাত মানে হেরে যাওয়া,
রাত মানে অব্যক্ত ব্যথা
রাত মানে অনেক বলেও রয়ে যাওয়া
না বলা কথা।
ভালোবাসার সমাধি এই পৃথিবীতে
রাত আর তাই কোনদিনই ফিরে না।

নিশিকাব্য এখানেই শেষ করতে হচ্ছে। রাত্রি অনেক বড় ব্যপার। প্রত্যেকটা রাত আসে একটা নতুন রঙ নিয়ে।প্রতিটা রাতের থাকে আশ্চর্য সব কাহিনী।সে কাহিনী আমরা কেউ কাউকে বলতে পারি না। শুধু নিজেদের রাতে আমরা মিলে মিশে একাকার হয়ে যাই অন্ধকারের সাথে। প্রতিরাতেই তাই লেখা হয় নতুন নিশি কাব্য।

Read Full Post »