
গতবছর এমন সময়ের টাইফয়েডটা আমাকে বেশ ভীতু বানিয়ে ফেলেছে। এরপর যে কারো দু-চারদিনের বেশি জ্বরের কথা শুনলে দুশ্চিন্তায় পড়ি, টাইফয়েড না তো ? অবশ্য গত এক বছরে আমার আর জ্বর হয়নি, তাই নিজেকে নিয়ে শান্তিতেই ছিলাম। কিন্তু বছর না ঘুরতেই আরেক অগাস্টে জ্বরে পড়লাম। এবারের জ্বর অবশ্য তেমন বেশি না। ১০০ ডিগ্রী ফারেনহাইটের মত উঠে, প্যারাসিটামল খেলেই নেমে যাচ্ছে। কিন্তু এবারও জ্বরের আয়ু প্রায় চার-পাঁচ দিন হতে চললো। বাইরে কিছু না বললেও, অস্বস্তিটা মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে। অবশ্য জ্বরের কারণ দীর্ঘ তিন বছর পর ভেজা মাঠে প্রখর রোদে ফুটবল খেলার কারণে কি না, সেটাও নিশ্চিত না।
জ্বর নিয়েই আজকের পরীক্ষাটা দিলাম। আগামীকালও একটা পরীক্ষা আছে – সত্যবাবুর টেলিকমুনিকেশন। বিষয়টা আমাকে একদমই টানছে না, মনে হচ্ছে এর চেয়ে মোবাইল সেলুলার কমুনিকেশন সাবজেক্টটা ভালো ছিলো। অবশ্য মেজর মাইনরের প্যাঁচে আমরা সবাই কম বেশি জেরবার – এছাড়া আমার আর কোন উপায় ছিলো না ! বন্ধু শান্ত তাঁর ইচ্ছার বিপরীতে বাধ্য হয়েই দুটো ইলেক্ট্রনিকসের সাবজেক্ট নিয়েছে – ওর মাইনরের কোটা থেকে। মনে হচ্ছে এই মেজর মাইনর নিয়ে ডিপার্টমেন্টের আরো একটু চিন্তা ভাবনা করা দরকার।
নতুন এই জ্বরে আর কিছু না হোক, আমার চিন্তা ভাবনায় যে পরিবর্তন এসেছে, তাতে নিশ্চিত। না হলে নিজের দিনপঞ্জি লেখার কোন পরিকল্পনা অন্তত আমার ছিলো না !
ছবিঃ পাবলো পিকাসোর আঁকা First Steps।
Read Full Post »